বিজ্ঞানের নতুন অনুসন্ধানে মিশরের পিরামিড কি সুধুই সমাধি না যন্ত্র?
গিজার পিরামিড মানুষকে বিষ্মিত করে চলেছে কয়েক শতাব্দী ধরে। মিশরের ফারাওয়ের সমাধি হিসেবেই গড়ে তোলা হয়েছিল অবিশ্বাস্য এই স্থাপনা, আমরা অন্তত সেটাই জেনে এসেছি।
আসলেই কি তাই?
হাজার হাজার মানুষ, অসংখ্য সুবিশাল পাথরের বড় বড় টুকরো আর এত সুদীর্ঘ সময় শুধুই কবর তৈরির জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে, নাকি এর পেছনে ছিল অন্য কোনো উদ্দেশ্য।
সাম্প্রতিক কিছু গবেষণা নতুন কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। পিরামিডের ভেতরে পাওয়া গেছে বিশাল আকৃতির কপার দন্ড, পাওয়া গেছে গ্রানাইট দিয়ে তৈরি আস্ত চেম্বার, পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ ডালোমাইট। এই উপাদানগুলোর প্রতিটিই বিদ্যুৎ সুপরিবাহী।
পিরামিডের খুব কাছেই আছে বিখ্যাত নীল নদ, পানি প্রবাহিত হওয়ার মতো প্রশস্ত টানেলের সন্ধানও মিলেছে পিরামিডের নিচের দিকে।
আর পানি প্রবাহই যে স্ফিংসের পাদদেধ ক্ষয়ে যাওয়ার কারণ সেটাও প্রমাণিত হয়েছে। সবমিলিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন পিরামিড আসলে তৈরি করা হয়েছিল পাওয়ার জেনারেটর হিসেবে।
বিদ্যুতিক শক্তির যোগান দেয়াই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য, যার অর্থ দাঁড়ায় প্রাচীন মিশরীয়রা বিদ্যুৎ ব্যবহার করতো।
এমন হলে তো আবার নতুন করে লিখতে হবে মানব সভ্যতার ইতহিাস।
আপনার কি মনে হয়? আসলেই কি হাজার বছর আগের মিশরীয়রা তবে এতটাই আধুনিক ছিলো?
No comments: