মঙ্গল গ্রহ (Mars Planet)-এ খোঁজ পাওয়া ৫৯০৫ ফুট গভীর বরফের গর্ত
আমাদের বিজ্ঞানিরা পৃথিবীর বাইরে অন্য কোন গ্রহে এখনো জীবনের খোঁজ পায়নি কিন্তু তারপরেও এই খোঁজ থেমে নেই। পৃথিবীর বাইরে জীবনের খোঁজ এখনো চলছে যার জন্য আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রোবট বা স্পেস প্রোব (Space Probe) বিভিন্ন গ্রহ (Planet)-এ পাঠিয়ে আসছি।
এই সমস্ত প্লানেটের মধ্যে একটি হচ্ছে মঙ্গল গ্রহ (Mars Planet)।
মঙ্গল গ্রহ (Mars Planet) নিয়ে এমনটা অনুমান করা হয়ে থাকে যে, বিলিয়ন বছর পূর্বে এখানে জীবন ছিল কিন্তু কোন এক অজানা কারণে সব শেষ হয়ে যায় আর তখন থেকেই এই গ্রহটি শুণ্য হয়ে পড়ে আছে।
আমরা এখন ফের একবার ওই গ্রহে জীবনের শুরু করতে চাই যার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন স্পেস এজেন্সি মঙ্গলে বিভিন্ন ধরণের পরিক্ষা-নিরীক্ষা করেথাকে।
পৃথিবীর সব বড় বড় স্পেস এজেন্সি এই গ্রহের প্রতি একটু বেশিই আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
পৃথিবীর সব বড় এজেন্সির মধ্যে একটি বড় এজেন্সির নাম নাসা (NASA "National Aeronautics and Space Administration")। মঙ্গলের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু স্পেশাল স্পেস প্রোব লঞ্চ করেছে নাসা। নাসা ব্যতীত আরো বেশ কিছু স্পেস এজেন্সি-ও লঞ্চ করেছে স্পেস প্রোব। তাদের মধ্যে একটি স্পেস এজেন্সি হলো ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (European Space Agency)। কিছুদিন পূর্বেই ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি তাদের অফিসিয়ার সাইট-এ একটি ছবি আপলোড করে, যেটা নিয়ে বিজ্ঞান মহলে বেশ হইচই পরেযায়। এই পিকচারটা দেখে আপনি নিজেও এর সত্যিটা নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবেন। আর তার সাথে এইটাও আপনার চিন্তায় আসবে যে, এতদিন ধরে এতগুলো স্পেস প্রোব-কে নাসা মঙ্গলে পাঠালো তারা কি তাহলে কিছুই বুঝলোনা নাকি এই বিষয়ে নাসা আমাদেরকে কিছুই জানায়নি।
সত্যিই কি নাসা মঙ্গল (Mars) সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে কিন্তু আমাদের থেকে লুকিয়ে রেখেছে, আর অপরদিকে অন্যসব স্পেস এজেন্সি গুলো এই সমস্ত রহস্য থেকে পর্দা উঠাচ্ছে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA) কি পিকচার রিলিজ করেছে তা সম্পর্কেই আজকে আমরা জানব।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ১৫ বছর পূর্বে ২ জুন ২০০৩ এ “মার্স” এক্সপ্রেস” নামে একটি মার্স মিশন লঞ্চ করেছিল। মিশনটির উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গলের লুকিয়ে থাকা রহস্য উন্মোচন করা। এই মিশনটি এখনো কাজ করে যাচ্ছে আর এটা মনে করা হচ্ছে যে, এই মিশনটি ২০২০ পর্যন্ত কাজ করবে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি তার “মার্স এক্সপ্রেস” (Mars Express) মিশনের সময় একটি বিশাল গর্তের খোঁজ পায় যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বরফ আছে, যেটার পিকচার (ESA) ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি রিলিজ করেছে। বিজ্ঞানীদের মত অনুসারে এটা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া অন্য কোন গ্রহের সবথেকে বড় গর্ত। বিজ্ঞানীদের মতে “মার্স এক্সপ্রেস” থেকে পাওয়া তথ্য থেকে আরোও মনে করা হচ্ছে যে মঙ্গলের মধ্যে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে আর সাথে এমনটা মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলের ওয়েদার কিছুটা পৃথিবীর মতোই হবে। “মার্স এক্সপ্রেস” যে বরফের গর্তের খোঁজ করেছে তার গভীরতা প্রায় ৫৯০৫ ফুট আর এটা চওড়াতে প্রায় ৮০ কিলোমিটার আর এই গর্তটি সারা বছর বরফে ঢাকা থাকে বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি।
মঙ্গল এখন শুধুমাত্র বিজ্ঞানীদের কাছেই আগ্রহের বিষয় এমনটা নয় কারণ বিজ্ঞানিদের সাথে আমাদের মতো সাধারণ বিজ্ঞান প্রেমিরাও এই সম্পর্কে অনেক বেশি উৎসাহী যার কারণে মঙ্গলের অনেক অজানা তথ্য প্রায়ই আমাদের সামনে আসে।
মঙ্গল সম্পর্কে আমাদের কাছে এটাই ছিল সর্বশেষ খবর।
মঙ্গল সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে তা অবশ্যই আমাদের জানাবেন, ধন্যবাদ।
খুব ভালো লাগল অনেক কিছু জানতে পারলাম
ReplyDelete