তুতেন খামুনের মমির অভিশাপ

তুতেন খামুনের মমি, tutan-khamun-curse

রামেসিসের পর সবচেয়ে বেশি যে ফারাও এর নাম শোনা যায় তার নাম হলো তুতেন খামুন। আমরা তাকে তুতেন খামুন নামে জানলেও তাকে সে সময়ে সংক্ষেপে রাজা তুত ও ডাকা হত আর তুতেন খামুন এর অর্থ- দেবতা আমুনের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। মিসরের প্রাচীন অষ্টাদশ সম্রাজ্যের ফারাও ছিলেন তিনি। 

তুতেন খামুন মারা যান মাত্র ১৮ বছরের কিশোর বয়সে কিন্তু রেখে যান নানা কাজের স্মৃতিচিহ্ন।

তুতেন খামুন তার রাজত্বকালে কী করেছিলেন না করেছিলেন সেটার চেয়ে বেশি পরিচিত হয় তার মমির অভিশাপের কারণে আর আজকে সেই রহস্যই আমরা জানবো।

tutan khamun face

১৯২২ সালে হাওয়ার্ড কার্টার (Howard Carter) রাজা তুতেনের প্রায় অক্ষত সমাধি আবিস্কার করেন। এ কাজে তাকে অর্থযোগে সহায়তা করেন ইংরেজ লর্ড কার্নারভন (Lord Carnarvon)। মিসরের ভ্যালি অফ দ্যা কিংসে খুঁজে পাওয়া যায় রাজা তুতের সমাধি যা খোলার পর থেকেই ঘটতে থাকে রহস্যময় সব ঘটনা।

সমাধি খোলার পর সেই দিনই হাওয়ারর্ড কার্টারের পাখি কোবরা সাপের শিকার হয় আর পরের বছর মশার কামড়ে মারা যান লর্ড কার্নারভন নিজেই। তখন মাসুষের মুখে মুখে গুজব রটে যায় যে, সমাধিতে প্রবেশকারীর জীবনে নেমে আসবে ভয়ংকর শাস্তি তবে এ অভিশাপ শুধু গুজব ছাড়া আর কিছুই ছিল না।

সমাধি খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন ৫৮ জন ব্যক্তি তবে এই ৫৮ জনের মধ্যে মাত্র ৮ জন মারা যায় প্রায় এক যুগ সময়ের মাঝে আর কার্টার নিজে মারা যান ৬৪ বছর বয়সে যা তুতেনের সমাধি আবিস্কারের প্রায় ১৭ বছর পর।

এই সকল বিষয় বিবেচনা করার পর চিন্তাবিদরা খুব সহজেই বুঝতে পারেন যে, তুতেন খামুনের মমিতে কোন অভিশাপ ছিলনা কিন্তু কিছু খারাপ চিন্তাধারার মানুষ তাদের কথার মাধ্যমে মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিল।

আমরা আজকে তুতেন খামুনের আসল রহস্যটি জানতে পারলাম তবে তুতেন খামুনের অভিশাপ নিয়ে আপনি কি মনে করেন তা আমাদের অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।

No comments:

Powered by Blogger.